হিন্দু সমাজ আজ ভয়াবহ সংকটের মুখে! প্রতিনিয়ত হিন্দুরা নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে বিধর্মীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। অথচ বড় বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও মন্দিরগুলোর তাতে কোন কিছুই যায় আসে না! এসব তথাকথিত ধর্মীয় নেতারা কেবল টাকার পিছনে ছোটে, ধর্ম রক্ষার কোনো চিন্তাই করে না। তাদের কাছে টাকা টাই সব। কিন্ত এটাও বোঝে না হিন্দু কমে গেলে সেই টাকা টাই বা কে দিবে তাকে?
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে হিন্দুদের সর্বনাশ
আজকের কীর্তন, পদাবলী, কবিগান এসব কিছুর মধ্যে কোনো ধর্মীয় শিক্ষা নেই! এগুলো আরও হিন্দুদের ক্ষতি করছে। এখানে ছেলে যায় মেয়ে দেখার জন্য, মহিলারা যায় কার মেয়ে কার সাথে গেছে- কার বাড়িতে কি হইছে এই সব জানতে, আর বাচ্চারা তারা তো মেলাতেই পরে থাকে। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি।
দ্যাখেন রাতে অনুষ্ঠানের নামে হিন্দু মেয়েদের অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা বিধর্মী ছেলেদের সঙ্গে যা খুশি করতে পারে! এসব ফালতু অনুষ্ঠান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে!
পুজোর নামে অপসংস্কৃতি চালু করে ফেলছি আমরা
আজ পুজো মানেই মদ, নাচ, ডিজে, আর অশ্লীলতা দিয়ে ভরা! দিনে প্রকৃত পুজো হয়, তখন তো কয়েকজন ছাড়া কাউকে দেখি না পুজা মন্ডপে! কিন্ত রাতে দেখবেন বসারও জাগা পাবেন না। কেন রে রাতে কি পুজা হয়। ও রাতে তো পুজা হয় না পুজার নাম করে মদ, নাচ, ডিজে, আর অশ্লীলতা করা যায়।
আবার রাতে সুন্দরী হিন্দু মেয়েদেরকে আমরা সামনে সুন্দর ভাবে স্টেজের পাশে বসাই যাতে বিধর্মীরা দেখতে পারে। আর সারা বছর সেই মেয়েকে টার্গেট করে তাকে ভুল ভাল বুঝিয়ে ধর্ম ত্যাগ করাতে পারে। এগুলোকে কি পুজা বলেন আপনারা। আবার কিছু হিন্দু মেয়েতো আরোও একধাপ এগিয়ে রাতে কোথায় যায় কার সাথে যায় বাবা মাও যানে না। কিন্ত পরে জানা যায় সে এক বিধর্মীর সাথে রাত কাটিয়ে এসেছে। এটাকেই কি পুজা মনে করেন আপনারা? অবিলম্বে এই নষ্টামি বন্ধ করা উচিত!
এখন করণীয় কি?
- হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং ধর্মরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
- রাতের সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং দিনের মধ্যেই সমস্ত ধর্মীয় কাজ শেষ করতে হবে। শুধু মাএ রাতের পুজা গুলু রাতে করতে হবে।
- মন্দিরের চারপাশে উঁচু দেয়াল তৈরি করতে হবে এবং কোনো বিধর্মীকে পুজোতে আমন্ত্রণ দেওয়া যাবে না।
- প্রতিটি মন্দিরে একজন ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, যিনি শিশু-কিশোরদের নিয়মিত ধর্মীয় শিক্ষা দেবেন। তাছাড়া বড়-ছোট সবাইকে ধর্ম সম্পর্কে বুঝাতে পারেন।
- পুরোহিতদের শুধু পুজো করানো নয়, ধর্ম প্রচার ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠনের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করতে হবে।
- ধর্মীয় সংগঠনগুলোর কার্যক্রম ধর্ম প্রচারে ব্যবহার করতে হবে। এবং কেউ যাতে ধর্ম ত্যাগ এবং লাভজিহাদে না জরায় তার জন্য প্রচারনা চালাতে হবে।
- ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মীয় নীতি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে, যেন অপসংস্কৃতি ঢুকতে না পারে। মদ, ডান্সার ইত্যাদি সম্পর্ন বাদ দিতে হবে।
উপসংহার
আমাদের হিন্দু সমাজ আজ ধ্বংসের পথে! এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে হিন্দুদের অস্তিত্বই থাকবে না! এখনই সময় জেগে ওঠার! আমাদের ধর্মকে রক্ষা করতে হলে ফালতু সংস্কৃতি বাদ দিয়ে কঠোর ধর্মীয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে! অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া কিছুই নয়!