হিন্দু সমাজে কুসংস্কার কারা তৈরি করে?
আমরাই!
মানে, এসব ভয়–ভীতি, নিয়ম–কানুন—সবই আমরা নিজেরাই বানাই।
তারপর আবার আমরাই বলি—
‘এটা আমাদের রীতি’,
‘এটা ধর্মের অংশ’,
যেন শাস্ত্রে লেখা কিছুর মতো!
এবং সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার—
একসময় এসব আমরা
জোর করে সবার উপর চাপিয়ে দিতেও চেষ্টা করি।
আপনি নিশ্চয়ই মানুষের মুখে শুনেছেন—
রাতে নাকি নখ কাটা যাবে না…
ঝাড়ু দিলে নাকি সম্পদ নষ্ট হয়…
বিড়াল রাস্তায় কাটলে নাকি অশুভ…
কিন্তু ভাই, সত্যি করে বলুন—
এগুলো কোন শাস্ত্রে আছে?
কোথাও নেই!
সবই আমাদের তৈরি ভয়।
আমাদের বানানো কুসংস্কার।
যেখানে জ্ঞান নেই,
সেখানে ভয় জায়গা নেয়।
আর সেই ভয়ই একসময়
‘ধর্ম’ নামে প্রতিষ্ঠা পায়।
ধর্ম জানার চেয়ে
ধর্মকে বিকৃত করে মানতেই
আমরা যেন বেশি স্বস্তি পাই!
ঠিক এ কারণেই
এ সব কুসংস্কার
আমাদের সনাতন ধর্মকে
পিছিয়ে দিচ্ছে—ভিতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
তাই আমি বলবো—
এসব কুসংস্কার মানার কোনো দরকার নেই।
যা মানার দরকার, তা হলো—গীতা।
গীতা জ্ঞান শেখায়, সাহস শেখায়, সত্য শেখায়।
জয় গীতা।
হরে কৃষ্ণ।”