উদ্ভব গীতায় জ্ঞানের ভান্ডার।

    উদ্ভব গীতায় কৃষ্ণের জ্ঞানের কথা।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও উদ্ভব এর কথোপকথন

বাল্যকাল থেকেই শ্রীকৃষ্ণের- উদ্ভব নামের একজন বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধাবান সখা ছিলেন। যিনি শ্রীকৃষ্ণের  রথ চালনা করতেন, এরই সুবাদে খুব কাছে থেকেই শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন কর্মময় জীবনের লীলার স্বাক্ষীও ছিলেন বটে। সারাটি জীবন তিনি- যখন- যেখানে শ্রীকৃষ্ণের প্রয়োজন হয়েছে সেখানে তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনোই শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে এই সেবা করতে গিয়ে কোনো প্রতিদান চাননি। শ্রীকৃষ্ণ যখন মানব লীলার ক্রান্তিলগ্নে- ঠিক সেই মূহুর্তে প্রিয় সখা উদ্ভবকে বললেন, হে উদ্ভব তুমি সারাটা জীবন নিঃস্বার্থভাবে আমার সেবা করে গেলে বিনিময়ে প্রতিদান কিছু চাওনি। আমার মানব লীলা সংবরণের সময় আসন্ন।এসময়ে আমি তোমাকে কিছু প্রতিদান দিতে চাই।

আমি দ্বারকার রাজা। রাজ্য পরিচালনা করতে গিয়ে কত অসহায় ও আর্তমানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। যে যখন যা চেয়েছে সাধ্যানুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনি। তুমি আমার প্রিয় সখা- সারাজীবন আমার রথ চালনা করেছ ও আমার বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের সাথে তুমি সম্পৃক্ত ছিলে। সারা জীবন আমি মানব সেবাই নিয়োজিত রয়েছি । সবাকে আমি বলেছি আমি ভক্ত বৎসল । যাদের মনে চিন্তা উদয় হয় সে চিন্তা দূর করি, তাই আমার নাম চিন্তাহারী। মানুষের দুঃখ নিবারণের জন্য আমি যে কাজ করি তাতে আমার নাম দয়াল হরি। যদি তুমি আমার কাছে কিছু না চাও,বা আমি যদি তোমাকে কিছু দিতে নাপারি তাহলে তোমার আমি চিরঋনি হয়ে থাকব। তোমার যে কোন সমস্যার আমি দূর করতে চাই। হে সখা তুমি এইমুহুর্তে আমার কাছে  এমন কিছু চাও, যাতে তোমার সব দুঃখ-কষ্ট নির্মূল হয়ে যায়। আর তোমাকেও কিছু কৃপা প্রদান করার আনন্দ লাভের মাধ্যমে আমি এ মনুষ্য অবতারের লীলা সংবরণ করতে চাই।

প্রিয় সখা উদ্ভবের- শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে কোন কিছু চাওয়ার তেমন ইচ্ছা ছিলনা।  তিনি বাল্যকাল থেকেই শ্রীকৃষ্ণের লীলা দেখতে ভালোবাসতেন এবং সেখান থেকে তিনি  শিক্ষা অর্জন করতেন। আর সেই শিক্ষা ও তার অলৌকিক কর্মের দ্বারা উদ্ভবের মনে প্রশান্তি জেগে উঠত। সে কারণে উদ্ভব শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চাইল – হে ভগবান আপনি আমাদের প্রতিনিয়ত যে শিক্ষা দেন তাতে আমি খুব বিষ্মিত। কিন্তু আপনার জীবনযাত্রার ধারা একটু ভিন্ন রকম কেন?

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন

মহাভারতে অনেক ঘঠনা ঘটে গেলো- কিন্তু আমার কোন রকম বোদগম্য হচ্ছেনা, আপনিএমন কিছু সমস্যার সম্মুখিন নিজে কেন হননি। আমার মনে আপনার প্রতি কিছু প্রশ্ন জেগে উঠছে প্রভু। যদি আপনার কৃপা হয় তাহলে আপনি কি তা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন? শ্রীকৃষ্ণ তার কথায়একটু মৃদু হেসে বললেন- কুরুক্ষেত্রে আমি যা অর্জুনকে বলেছি তা শ্রীমদ্ভগবত গীতা নামে প্রশারিত হয়েছে। আর সেজন্য আজ  তোমাকে আমি যা বলব তা উদ্ভব গীতা নামে প্রশারিত হবে। প্রিয় উদ্ভব-তুমি তোমার মনে যত রকমের প্রশ্ন প্রস্তুত করে রেখেছো তা  আমাকে নির্ধিদায় বলতে পারো, আজ আমি তোমাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত।

 উদ্ভব বললেন

– হে ভগবান আপনার কাছ থেকে আমি এই অনুমতি পেয়ে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। হে ভগবান আমার প্রশ্ন হলো – এই জগতে প্রকৃত বন্ধর কি রূপ হয়?

শ্রীকৃষ্ণ উদ্ভবকে উত্তরে বললেন- প্রকৃত বন্ধ সেই হয়, যে বন্ধ বিপদে- আপদে সর্বক্ষেত্রে  সকল কিছু পরিত্যাগ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং নিজের সৎ কর্মের মাধ্যমে অন্যকে উদ্ধার করে সেই প্রকৃত বন্ধ। এ কথা শুনে উদ্ভব আবার প্রশ্ন করলেন, তাহলে প্রভু আপনি তো পঞ্চ পান্ডবদের সবচাইতে প্রিয় বন্ধ ছিলেন, এবং তাদের সর্বক্ষেত্রে আপনি সহযোগিতা করতেন- তারা আপনাকে সত্যের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করত। আপনি তো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কি হবে সব কিছু জানতেন,  আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, ও সৃষ্টির স্রষ্টা,  আপনি কেন পঞ্চ পান্ডবদের এই চরম বিপদ থেকে রক্ষা করলেন না কেন?

কেনই বা  ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে শকুনি মামার সাথে পাশা খেলতে বাঁধা প্রদান করলেননা?  আর যখন ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির  ধন-সম্পদ, রাজ্য ও নিজেকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলো – তখনো আপনি কেন তাকে এই ভয়ংকর পাশা খেলা থেকে বিরত করলেননা? এই নির্মম পাশা খেলার দন্ড থেকে আপনি তাঁকে রক্ষা করতে পারতেন। আপনি তাও করেননি কেন?

মহামহিম ভীষ্ম, গুরু দ্রোণ, কর্ণ, ধৃতরাষ্ট্র, বিধুর, এবং আরো অনেক মহারাজদের সামনে দুষ্ট দুর্যোধন এবং তার ভ্রাতা দুশশাসন- যখন প্রস্তাব করেছিলেন যে, পঞ্চপান্ডবদের স্ত্রী তথা  দ্রৌপদীকে যদি পাশা খেলায় বাজী রাখে, এবং ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির যদি এই খেলায় জয়লাভ করে তাহলে তার সব হারানো সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির তাতেও খেলার জন্য রাজি হয়ে যায়। তখনো  আপনি তাতে বাঁধা দেননি কেন? কেন  আপনি আপনার অলৌকিক ক্ষমতার দ্বারা তাদের জয় এনে দেননি? এর ফলে ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির আবার পরাজয় হয়, সেজন্য দুর্যোধন এবং তার ভ্রাতা দুশশাসন- দ্রৌপদীকেও অসম্মান হতে হয়েছে।  তার সম্ভ্রম প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন। আর আপনি দাবি করেন যে, আপনি বস্ত্র দিয়ে তার সম্ভ্রম রক্ষা করেছেন?

ভীষ্ম, গুরু দ্রোণ, কর্ণ, ধৃতরাষ্ট্র, বিধুর, এবং আরো অনেক মহারাজদের সামনে ভরা সভায় একজন স্ত্রীলোককে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে এবং তাকে একজন নারীর মর্যাদা না দিয়ে যে ভাবে তার প্রতি যে অবিচার করা হল এবং তার পরনের বস্ত্র প্রায় খুলে ফেলার মত অপরাধ করেছিল – তাতেও আপনি তদের বাঁধা প্রদান করেননি কেন? এরকম  চরম বিপর্যয়ের সময় আপনি সবাইকে রক্ষা করেন বলে আপনাকে সবাই  শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে। কিন্তু এই চরম বিপদের সময় আপনি যদি সাহায্যই না করলেন,তাহলে এ বন্ধত্বের প্রয়োজনীয়তা কী? এটা কি ধর্ম ছিল?  এই প্রশ্নগুলো করার সময় উদ্ধবের অশ্রুশিক্ত নয়ন যেন এখনিই ঝড়ে পরল। সত্যি বলতে এই জগতে সকলে জীবের মনের মধ্যে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার জন্য অধিক আগ্রহ ছিল। আর সেই প্রশ্নগুলোই উদ্ভব নিজের কষ্টের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেছেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন

হে প্রিয় উদ্ধব, আমি জানতাম তোমার ভিতর এই প্রশ্নগুলো অনেকদিন যাবৎ ছিল আর তুমি এজন্য অনেক দুঃখ পেয়েছ। কিন্তু আমি এই জগতের প্রত্যেকটি জীবের জন্য তাদের জয় পরাজয় বেঁধে রেখেছি, এবং তা  হচ্ছে যাদের বিবেক যে সময় ভালো-মন্দ পার্থক্যের বিচার- বিবেচনাবোধ  করতে পারবে তারাই প্রত্যকটি কর্মে সফল হবে। আর সেদিন ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের বিচার- বিবেচনাবোধ সঠিক ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়নি। আর যখন দুর্যোধনের বিচার- বিবেচনাবোধ সঠিক ভাবে কাজ করেছিল, ঠিক তখন দুর্যোধন ও মামাশ্রী সফল হয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণের কথায় উদ্ধব আরো দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন তাকে সম্পুর্ণ বিষয়টি পরিস্কার করে বলতে লাগলেন,

ধৃতরাষ্ট্র পু্ত্র দুর্যোধনের অনেক সম্পদ ছিল, কিন্তু সে পাশা খেলতে জানতো না, তাই সে মামা শকুনিকে তার জায়গায় খেলতে বলেছিল। এটাই বিবেক, ঠিক একইভাবে যুধিষ্ঠির মহারাজও আমাকে তার হয়ে খেলতে বলতে পারতেন, যেহেতু আমিও সম্পর্কে তার পিসতুত ভাই ছিলাম। কিন্তু তিনি বলেননি। আর সে তখন নিজের উপর নির্ভর করে খেলতে এসেছিল। যার কারণে মামাশ্রী শকুনি চলনা করার সুযোগ পেয়ে গেছেন।এই মিথ্যা চলনা মানুষকে কতটুকু নিচে নামাতে পারে এটাই তার উদাহরণ। এই খেলায় যদি  যুধিষ্ঠির তার সব কিছু হারানোর পর যদি খেলা ছেড়ে চলে আসতেন তাহলে দ্রৌপদীর প্রতি এই অন্যায় হতোনা। কিন্তু তিনি তা করেননি।    আমি কী করে যুধিষ্ঠিরকে ক্ষমা করি, যখন সে আমাকেই ভুলে গিয়েছিল? আর মামাশ্রী শকুনির ফাঁদে পা দিয়েছিল। সেজন্য আমি তাতে কোন রকম হস্তক্ষেপ করিনি।

পাশা খেলা অবস্তায় বিবেকহীন হয়ে সে আরো একটা বড় ভুল করে বসল, সে প্রার্থনা করল, আমি যেন পাশা খেলার  সময় ওই সভাতে না যাই। তার প্রার্থনা আমাকে শুনতে হয়েছিল। আর সে জন্য আমি তাকে রক্ষা করতে পারিনি। তার পরেও আমি প্রত্যাশা করছিলাম কেউ অন্তত আমাকে ভেতরে আসার প্রার্থনা করুক। কিন্তু কেউ করেনি তার ফলে আজ পঞ্চ পান্ডবদের এই করুন পরিনতি হয়েছে।

যখন দুর্যোধনের আদেশে দুঃশাসন দ্রৌপদীকে চুল ধরে অসম্মান করে সভায় নিয়ে এলো, তখনও দ্রৌপদী আমাকে স্মরণ করেনি। তার নিজের সামর্থ্য দিয়ে প্রতিবাদ করছিল মাত্র, কিন্তু একবারও  আমাকে স্মরণ করেনি। দুঃশাসন যখন তার বস্ত্র হরণের চেষ্টা করে লাগল, তখন সে আমাকে স্মরণ করে আর নিজের রক্ষার জন্য। ঠিক তখন আমি তা প্রর্থনা শুনতে পায় , সে আমাকে ডাকা মাত্রই আমি ছুটে গিয়েছি, এবং তাকে এই চরম মুহুর্তের সময় আমি রক্ষা করেছি।  এখন তুমিই বল উদ্ভব, আমি কি তাদের সাথে কোন অন্যায় করেছি?

উদ্ধব বললেন, প্রভু আপনার এই অসাধারন বক্তব্য শুনে আমার মন অতি প্রশন্ন হয়েছে, আমি বুজতে পেরছি যে আপনার লীলা। প্রভু আমি কি আপনার কাছে আরেকটা প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি? শ্রীকৃষ্ণ অনুমতি দিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন কি প্রশ্ন?  উদ্ধব বললেন, প্রভু, তাহলে আপনি কি শুধু শ্মরণ করলেই আপনার ভক্তের সাহায্যে আসেন, নিজে থেকে তাদের রক্ষার করার জন্য আসেন না?

শ্রীকৃষ্ণ বললেন,উদ্ধব, এই জগতে সবার জীবন পরিচালিত হয় তাদের কর্মের উপর, যে যেভাবে তার কর্ম পরিচালনা করবে সে সেভাবে তার জীবন অতিবাহিত করবে। আমি এতে কোনো হস্তক্ষেপ করি না, আমি শুধু দেখি কে কি রকম কর্ম করে তার উপর ভিত্তি করে আমি তার কর্মফল প্রদান করি। এটাই আমার ধর্ম।

উদ্ধব বললেন,  তাহলে প্রভূ আমাদের এই জগত সংসারে আমরা তো ছোট বড় অনেক পাপ করে থাকি,  আপনি আমাদের খুব কাছে থেকে আমাদের পাপকর্ম করতে দেখতে থাকবেন। আমারা যখন পাপের পর পাপ করতে থাকব, আপনি তখনো দেখতে থাকবেন। আপনি কি চান আমারা একের পর এক পাপ করতেই থাকি, ভুল করতে থাকি, আর তার ফলে শাস্তি পেতে থাকি?

শ্রীকৃষ্ণ বললেন, উদ্ধব, তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছো। তারপরেও  কী রূপে তুমি খারাপ বা অনৈতিক কাজ করতে পারো? আর যদি তুমি ভেবে থাকো তোমার কোন কর্ম আমি দেখতে পারছিনা তাহলে তুমি আরো বড় ভুল করবে। তুমি যা করবে তার কর্মফল অবস্যই পাবে। ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের অজ্ঞতা ছিল এই যে, তিনি ভেবেছিলেন তিনি আমার অজ্ঞাতে পাশা খেলবেন। যদি তিনি সত্যি এটা অনুধাবন করতেন যে, আমি সবসময় সবার সঙ্গে তাদের কর্মের সাক্ষী থাকি, তাহলে তার এই অবস্তা হতনা। তাই আমি প্রত্যেক জীবকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। যাতে প্রত্যেক জীব তাদের কর্ম সম্পাদন করার সময় নিজের বিবেক বুদ্ধি ঠিক রেখে কর্ম করে। তাতেই সে লাভবান হবে।

উদ্ধব শ্রীকৃষ্ণের এই বাণী শুনে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। উদ্ধব বললেন, আমরা যখন এটা জানি যে, কোনো কিছুই ভগবানের অনুমতি ছাড়া চলে না, তিনি সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান তাহলে আমরা কি রূপে এ চরম সত্য ভুলে গিয়ে কর্ম করি? কুরূক্ষেত্র যুদ্ধে ভগবান এই শিক্ষাই তো অর্জুনকে দিয়েছেন। যে শিক্ষা আমাদের জীবনকে পরিবর্তনের দিক দেখাবে। তিনি অর্জুনের রথের সারতি তথা তার পথনির্দেশক হয়েছেন, নিজে যুদ্ধ করেননি।

আজকের এই বিষয় থেকে আমরা যে শিক্ষা লাভ করেছি তা যেন আমরা আমাদের জীবনে অনুধাবণ করি। এবং সর্বক্ষেত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে শ্মরণ করি। সঠিক চিন্তাধারয় সঠিক কর্ম করি, প্রত্যেকটি জীবকে ভালোবাসি এবং সকলের সাহায্যে এগিয়ে আসি। এটাই আমাদের এই পাপের জ্বরজাগতিক জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

=হরে কৃষ্ণ=

Leave a Reply

Your email address will not be published.